ঢাকা শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

পিতৃত্ব অস্বীকার করায় কারাগারে যুবদল নেতা


নিউজ ডেস্ক
৫:৪৩ - বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪
পিতৃত্ব অস্বীকার করায় কারাগারে যুবদল নেতা

ঝালকাঠিতে পিতৃত্ব অস্বীকার ও ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগে যুবদলের নেতা হিরন মৃধাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত।

বাদী নাবালক ছেলে মো. আব্দুল্লাহ মৃধার পক্ষ থেকে তার মা আয়েশা আক্তার সুমা রাজাপুর সহকারী ও পারিবারিক আদালতে গত ২২ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করেন। গত ১৮ মার্চ আদালত হিরন মৃধার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর ২৫ মার্চ রাতে ঝালকাঠি শহরের কুমারপট্টি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মা-বাবা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের সামনে থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

বাদীপক্ষ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাজাপুর উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের মেয়ে আয়েশা আক্তার সুমার সঙ্গে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর ঝালকাঠির মো. মোকছেদ আলী মৃধার ছেলে যুবদলের নেতা হিরন মৃধার বিয়ে হয়। তবে মাত্র দু’মাস সংসার করার পর একই বছর ৭ ডিসেম্বর হিরন মৃধার সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও এর আগে স্ত্রী আয়েশা আক্তার সুমা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে ২০২১ সালের ২০ আগস্ট তাদের ছেলে সন্তান মো. আব্দুল্লাহ মৃধার জন্ম হয়। তবে হিরন মৃধাকে বার বার সংবাদ পাঠানো হলেও সে শিশুর কোনো খোঁজখবর বা ভরণপোষণ দেননি। উল্টো সে সন্তানকে অস্বীকার করায় গত ২২ সেপ্টেম্বর খোরপোষের দাবিতে আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর রাজাপুর সহকারী ও পারিবারিক আদালত হিরন মৃধাকে দোষী সাব্যস্ত করে ছেলে মো. আব্দুল্লাহ মৃধার পক্ষে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ডিক্রি ঘোষণা করে রায় প্রদান করে। আদালতের রায় পালন না করায় বাদীপক্ষ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একই আদালতে মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলা আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। 

মামলার বাদী নাবালক ছেলে মো. আব্দুল্লাহ মৃধার পক্ষে মা আয়েশা আক্তার সুমা বলেন, আমার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হবার আগে সন্তান গর্ভে ছিল। সন্তান জন্মের পরে তাকে অনেক বার বলার পরেও সে সন্তানের কোনো খোঁজ খবর বা ভরণপোষণ দেয়নি। পরে বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালত হিরন মৃধাকে দোষী সাব্যস্ত করে ছেলে মো. আব্দুল্লাহ মৃধার পক্ষে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ডিক্রি ঘোষণা করে রায় প্রদান করে। তারপরও তিনি আদালতের রায় পালন না করায় ওই ডিক্রি দিয়ে মামলা দায়ের করি এরপর আদালত তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।