সিলেট নগরীর মাদিনা মার্কেট এলাকায় নর্থ-ইস্ট পেট্রল পাম্পে ট্যাংক লরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ ৫ জনের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় দগ্ধ দুজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যেমে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের (সিওমেক) বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. আব্দুল মান্নান। এর আগে রোববার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে মদিনা মার্কেটস্থ নর্থ-ইস্ট পেট্রল পাম্পে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধরা হলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ঘাসিটুলা বেতেরবাজার এলাকার জাফর আলীর ছেলে মো. মনতাজ মিয়া (৩৫), একই এলাকার মঙ্গল মিয়ার ছেলে মো. লিটন মিয়া (২৫), মতি মিয়ার ছেলে মো.আলম মিয়া (২৩), মিছির আলীর ছেলে মো. মতি মিয়া (৬০), রজনি চন্দ্র দাসের ছেলে সুভাষ দাস (৫৫)।
তাদের মধ্যে মনতাজ মিয়া ও মতি মিয়ার অবস্থার অবনতির কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করা হয়েছে।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের (সিওমেক) বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. আব্দুল মান্নান বলেন, ৫ জনের অবস্থাও ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকায় যে দুজনকে প্রেরণ করা হবে তাদের শরীরের ৩৫ ভাগ পুড়ে গেছে। এছাড়া শ্বাসনালির কিছু অংশ পুড়ে গেছে বলে আমরা ধারণা করছি। বাকি তিনজনের মধ্যে দুজনের শরীরের বিভিন্ন অংশের ৩০ ভাগ ও একজনের ২৮ ভাগ পুড়ে গেছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর জানান, অগ্নিদগ্ধ সবাই সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ডে লেভার হিসেবে ড্রেন খননের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এই ঘটনায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।