জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় চাঁদপুরের 'বিতর্কিত' ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেলিম খানের জামিন শুনানির জন্য আজ (৮ নভেম্বর) দিন ধার্য রয়েছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এ শুনানি হবে। তার আইনজীবী শাহিনুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর একই আদালত সেলিম খানের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১ আগস্ট সেলিম খানের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সেলিম খান অবৈধ উপায়ে ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। এছাড়া তিনি ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। সেলিম খান যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন, তা যাচাই-বাছাই করে অসংগতি পাওয়া গেছে। লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর মৌজায় সেলিম খানের ১৯ দশমিক ৮৯ একর জমি, ঢাকার কাকরাইলে আজমিন নামে একটি পাঁচতলা ভবন, কাকরাইলে ৭১৫ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভুঁইগড় এলাকায় ১০ তলা বাড়িসহ মোট ২৬ কোটি ৪২ লাখ ৩২ হাজার ২১ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ রয়েছে।
এছাড়াও তার ছয়টি ড্রেজার, তিনটি প্রাইভেটকার, জিপ, একটি পিস্তল, একটি শটগান, আসবাব, পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার, একটি মোটরসাইকেল, ইলেকট্রনিক সরঞ্জামাদি, নয়টি সিনেমা নির্মাণ ও আমদানিতে বিনিয়োগ, ৫৮টি সিনেমা নির্মাণে অনুমতির নিবন্ধন ফি জমা, ব্যাংক হিসাবে জমা ও হাতে নগদসহ আরও ১১ কোটি ১৯ লাখ ৩৫ হাজার ৩৬৪ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, স্থাবর ও অস্থাবর মিলে সেলিম খানের ৩৭ কোটি ৬১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৮৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং পারিবারিক ও অন্যান্য বাবদ এক কোটি ছয় লাখ ৩৮ হাজার ৩১০ টাকা পাওয়া গেছে। এ সব সম্পদের বিপরীতে গ্রহণযোগ্য চার কোটি ১৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৭৬ টাকা আয়ের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলেও বাকি ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত।