ফেনীতে চলতি বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার (৬ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চমান পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জেলায় ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। সারাদিন আকাশ মেঘলা ছিল। রাতেও বৃষ্টি বা কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
এদিকে গত কয়েক দিনের গরমের পর বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তি দেখা গেছে। তবে বিভিন্ন উপজেলায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা গেছে। মাঠের ফসল ঘরে তোলা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন কৃষক।
শহরের ডাক্তারপাড়ার বাসিন্দা আবু তৈয়ব বলেন, টানা গরমের পরে এমন বৃষ্টিতে স্বস্তি নেমেছে। দুপুরবেলায় একদম রাতের অন্ধকারের মতো অবস্থা ছিল। তবে বৃষ্টিতে তাৎক্ষণিক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা গেছে।
পরশুরাম উপজেলার বীরচন্দ্র নগর গ্রামের কৃষক আজহারুল হক বলেন, মাঠের বোরো ধান ঘরে তোলার ঠিক আগমুহূর্তে এমন বৃষ্টি চিন্তায় ফেলেছে। ভালো ফলন হলেও ফসল বাড়ি আনতে পারব কিনা জানি না। বৃষ্টিতে এখনই জমিতে পানি জমে গেছে। বাতাস হলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক একরাম উদ্দিন বলেন, চলতি মৌসুমে ফেনীতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বোরো ধানের আবাদ বেশি হয়েছে। ইতোমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। মাঠে প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি ধান পেকে গেছে। বৈরী আবহাওয়ার হাত থেকে ফসল রক্ষায় জমির ধান ৮৫ শতাংশ পাকার সঙ্গে সঙ্গেই কেটে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাতাস ও বৃষ্টি স্থায়ী না হলে আশা করি কৃষকের খুব বেশি ক্ষতি হবে না।