ঢাকা রবিবার, মে ১৯, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

মাছের উৎপাদন বেড়েছে এক লাখ ৩৩ হাজার টন


নিউজ ডেস্ক
১২:৩০ - সোমবার, মে ৬, ২০২৪
মাছের উৎপাদন বেড়েছে এক লাখ ৩৩ হাজার টন

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে এক লাখ ৩৩ হাজার টন মাছ বেশি উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। ওই অর্থবছরে দেশে ৪৭ লাখ ৮২ হাজার টন মাছের চাহিদা ছিল। এর বিপরীতে মোট মাছ উৎপাদন হয়েছে ৪৯ লাখ ১৫ হাজার টন।

সোমবার (৬ মে) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মাইনুল হোসেন খানের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান জানান, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ৪৭ লাখ ৮২ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে মোট মাছ উৎপাদিত হয়েছে ৪৯ লাখ ১৫ হাজার টন। প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা ও গতিশীল নেতৃত্বে ২০১৬-১৭ সালে বাংলাদেশে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪০ লাখ ৫০ হাজার টনের বিপরীতে ৪১ লাখ ৩৪ হাজার টন উৎপাদিত হয়। ফলে স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

এছাড়া বিবিএসের তথ্য দিয়ে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশের মানুষ দৈনিক গড়ে জনপ্রতি ৬৭.৮০ গ্রাম (জনপ্রতি বাৎসরিক ২৩.৭২ কেজি চাহিদার বিপরীতে ২৫.০০ কেজি) মাছ গ্রহণ করছেস।

উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজস্ব ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পোনা অবমুক্তির কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের আওতায় ২১৫.৪৩ টন এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০০.২৫ টন পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের আওতায় বিল নার্সারি কার্যক্রম বাস্তবায়নে সারাদেশে ৯১৭টি এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৭৪টি বিল নার্সারি স্থাপন করা হয়েছে। দেশীয় প্রজাতির মাছের বিলুপ্তি রোধ ও প্রাচুর্য রক্ষায় বর্তমানে দেশের বিভিন্ন নদ-নদী ও অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে স্থাপিত ৫০০টি অভয়াশ্রম সুফলভোগীদের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের আওতায় ৩৮৯টি মৎস্য অভয়াশ্রম ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৭২টি মৎস্য অভয়াশ্রম মেরামত ও ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। বিগত ১৫ বছরে মৎস্য অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ হাজার ৭শ ৫৮ হেক্টর অবক্ষয়িত জলাশয় পুনঃখনন করে সংস্কার ও উন্নয়ন করা হয়েছে। খনন করা জলাশয়ে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সুফলভোগীদের আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।