ঢাকা মঙ্গলবার, মে ২১, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

খরায় পুড়ছে ফসলের খেত


নিউজ ডেস্ক
৫:৫৬ - মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
খরায় পুড়ছে ফসলের খেত

কুড়িগ্রামে দাবদাহ ও খরায় পুড়ছে ফসলের খেত। বৃষ্টি না হওয়ায় ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। প্রচণ্ড রোদে খা খা করছে সর্বত্র। 

ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যাহত হচ্ছে সেচ ব্যবস্থা। এ পরিস্থিতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে কৃষিতে। কুড়িগ্রামে খরায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে বাদামের আবাদ। 

বাদাম চাষিরা বলছেন, বাদাম চাষ হয় বালু মাটিতে। এখনো বৃষ্টির দেখা নেই। এর মধ্যে তীব্র রোদে বাদামের গাছ ঝিমিয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত সেচ দিয়ে গাছগুলো স্বাভাবিক রাখা হচ্ছে। নিয়মিত সেচ না দিলে গাছগুলোর মরে যেতে পারে। গত বছর এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১৫-২০ হাজার টাকা। তবে এবার এক বিঘা জমিতে খরচ হবে ৩৫-৪০ হাজার টাকা। যার ফলে উৎপাদন খরচ ওঠা নিয়েও চিন্তিত তারা।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে এবার ২ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ করা হয়েছে। তবে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে বাদামের ফলন কিছুটা কম হতে পারে।

উলিপুর উপজেলার তিস্তা পাড়ের গোড়াই পিয়ার এলাকার বাদাম চাষি মিজানুর রহমান বলেন, তীব্র রোদে সেচের পানির উপরে নির্ভর করে বাদামের আবাদ করছি। খেত সবসময় নজরদারিতে রাখছি। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ফলনও কম হবে। পাশাপাশি উৎপাদন খরচও দ্বিগুণ হবে।  

ওই এলাকার আরও এক কৃষক নুরুজ্জামান বলেন, যতদিন বৃষ্টি হবে না ততদিন সেচ দিতে হবে। সেচ না দিলে গাছ ঝিমিয়ে যাচ্ছে। গাছ মরে গেলে তো আবাদ শেষ। প্রতি জমিতে একদিন পর পর পানি দিতে হচ্ছে। বৃষ্টি হলে একটু শান্তি পেতাম। 

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, বেশকিছু দিন ধরে তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। তবে তিন তারিখের পরে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জমিতে সেচ দিতে হবে নিয়মিত। যে দাবদাহ চলছে সব ফসলেই সেচ দিতে হবে। যেহেতু বৃষ্টি নেই আবার পানির বিকল্প কিছু নেই। তাই আমরা ধান, সবজি, বিভিন্ন ফলসহ সব ফসলেই সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।