ঢাকা মঙ্গলবার, মে ২১, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

আর্থ ডে উপলক্ষ্যেপরিবেশ সুরক্ষায় মেটা-র উদ্যোগ


Admin
২৩:১১ - শুক্রবার, এপ্রিল ২২, ২০২২
আর্থ ডে উপলক্ষ্যেপরিবেশ সুরক্ষায় মেটা-র উদ্যোগ

বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন সম্বন্ধে সচেতনতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। একইসাথে মানুষ পরিবেশ নিয়ে কাজ করার নতুন নতুন উপায় খুঁজে বের করছেন। এই আর্থ ডে-তে এমন কিছু উপায়ের কথা তুলে ধরছে মেটা, যা আগে ফেসবুক কোম্পানি নামে পরিচিত ছিল। এর মাধ্যমে মানুষ পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবেন। মেটা-র বিশ্লেষণ অনুসারে, ২০ লক্ষের বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি অন্তত একটি ফেসবুক গ্রুপের সদস্য, যে গ্রুপগুলো পরিবেশ সংক্রান্ত আবিষ্কার, সুরক্ষা ও মূল্যায়ন নিয়ে কাজ করে। মেটা-র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড কমিউনিটিস লিড সিদ্ধার্থ স্বরূপ বলেন, “প্রতিদিন হাজারো মানুষ আমাদের প্ল্যাটফর্মগুলোতে মিলিত হয়ে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। তারা ফেসবুকে গ্রুপের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন বা পরিবেশবান্ধব জীবনের জন্য ক্রিয়েটরদের নানা ধরনের টিপস অনুসরণ করছেন। দেখে ভালো লাগছে যে, বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। আর্থ ডে আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, পৃথিবীর সুরক্ষায় ছোট-বড় সব ধরনের পদক্ষেপই খুব গুরুত্বপূর্ণ।”


অনেকেই জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উপায় খুঁজছেন। এই সপ্তাহে বিখ্যাত চিত্রশিল্পীদের সাথে মিলে মেসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রামে নতুন কিছু স্টিকার ও ফিচার প্রকাশ করছে মেটা। এর মাধ্যমে মানুষ পরিবেশের প্রতি তাদের দায়িত্ববোধ প্রকাশ করতে পারবেন। পরিবেশ সুরক্ষার প্রতি নিজেদের সমর্থনের কথা তুলে ধরার জন্য তারা নিজেদের ওয়ার্ড ইফেক্ট ও থ্রিডি অ্যাভাটার স্টিকারও তৈরি করতে পারবেন।


এছাড়াও, মেটা-র তথ্য অনুসারে, বর্তমানে ইনস্টাগ্রামে নিজেদের পরিবেশবান্ধব হিসেবে পরিচয় দেয় বাংলাদেশে এমন ব্যবসার সংখ্যা ৮০০-র বেশি। আরো আছে ফেসবুক মার্কেটপ্লেস, যেখানে মানুষ কমিউনিটির ভেতরে এবং বাইরে নিজেদের কেনা বা ব্যবহৃত পণ্য বিক্রি করতে পারেন। বাইসাইকেল, গাছ, পোশাক, ঘর সাজানোর জিনিসপত্রসহ সবকিছুই এখানে পাওয়া যায়। বর্তমানে মেটা-র বৈশ্বিক কার্যক্রম শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তি সমর্থিত। ২০৩০ সালের মধ্যে এর ভ্যালু চেইন জুড়ে নেট জিরো এমিশন অর্জন করা এবং ওয়াটার পজিটিভ হয়ে ওঠা এই কোম্পানির অন্যতম লক্ষ্য।


জলবায়ু সংক্রান্ত ভুল তথ্য প্রতিরোধে মেটা ১ মিলিয়ন ইউএস ডলারের ক্লাইমেট মিসইনফরমেশন গ্রান্ট প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি কোম্পানিটি ইয়েল প্রোগ্রাম অন ক্লাইমেট কমিউনিকেশন প্রোগ্রামের সাথে যৌথভাবে পরিচালনা করছে বার্ষিক জলবায়ু পরিবর্তন মতামত জরিপ , যার উদ্দেশ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে ১৮০টির বেশি দেশের সাধারণ মানুষের মতামত তুলে ধরা। সম্মিলিতভাবে পরিবেশের যত্নে প্রত্যেকেই ভূমিকা রাখতে পারেন। এই আর্থ ডে-তে কীভাবে নতুন ফিচার ব্যবহার করে মেটা-র সাথে যুক্ত থাকা যায়, সে বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে দেখুন:

https://messengernews.fb.com/2022/04/19/talking-about-our-earth-on-messenger-and-

messenger-kids/


মেটা

মেটা-র প্রযুক্তি মানুষকে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে, কমিউনিটি গড়ে তুলতে, ও ব্যবসার উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। ২০০৪ সালে চালু হওয়ার পর ফেসবুক মানুষের মধ্যে যোগাযোগের ধরন বদলে দিয়েছে। মেসেঞ্জার, ইন্সটাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপগুলো কোটি কোটি মানুষের ক্ষমতায়নে সাহায্য করেছে। সামাজিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন বিপ্লব আনতে এখন দ্বিমাত্রিক স্ক্রিন ছাড়িয়ে অগমেন্টেড ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মতো ত্রিমাত্রিক অভিজ্ঞতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে মেটা।