দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ীর ২টি আসনের ৮ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিসার মো. অলিউল ইসলাম জানান, কোনো প্রার্থী যদি মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পান তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সেই হিসেবে, রাজবাড়ী-১ আসনের ৪ প্রার্থী ও রাজবাড়ী-২ আসনের ৪ প্রার্থীসহ মোট ৮ প্রার্থী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় প্রত্যেকের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
এবার রাজবাড়ী-১ আসনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী কেরামত আলী নৌকা প্রতীকে ৯৭ হাজার ৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাস ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৫৩ হাজার ১৩২ ভোট।
এছাড়াও জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান বাচ্চু (লাঙ্গল) প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৬১৮ ভোট, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ডিএম মজিবুর রহমান (সোনালী আঁশ) প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৯১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বপন সরকার (ঈগল) প্রতীকে পেয়েছেন ৪৮৭ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান মুসল্লী (ঢেঁকি) প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৫৫২ ভোট।
মোট প্রদত্ত ভোটের (১,৫৯,৫৮৪) আট ভাগের এক ভাগ (১৯,৯৪৮) ভোট না পাওয়ায় ৪ জনের জামানতই বাজেয়াপ্ত হয়। জামানত বাজেয়াপ্তরা হলেন— জাতীয় পার্টির প্রার্থী খন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চু (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ডিএম মজিবুর রহমান (সোনালী আঁশ), স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান মুসল্লী (ঢেঁকি), স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বপন কুমার সরকার (ঈগল)।
অপরদিকে রাজবাড়ী-২ আসনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী হক ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৪৬৬ ভোট।
এছাড়াও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শফিউল আজম খান (লাঙ্গল) প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৫৩৪ ভোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুল মতিন মিয়া (মশাল) প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৬০২ ভোট, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী এস এম ফজলুল হক (সোনালী আঁশ) প্রতীকে পেয়েছেন ৭৬৫ ভোট ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আব্দুল মালেক মণ্ডল (ছড়ি) প্রতীকে পেয়েছেন ৮৪৭ ভোট।
এই আসনের মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা (২,৮৫,০৯৮) আট ভাগের এক ভাগ (৩৬,৪০৫) না পাওয়ায় তাদের ৪ জনেরই জামানতই বাজেয়াপ্ত হয়।
জামানত বাজেয়াপ্তরা হলেন— জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শফিউল আজম খান (লাঙ্গল), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুল মতিন মিয়া (মশাল), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী এস এম ফজলুল হক (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আব্দুল মালেক মণ্ডল (ছড়ি)।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় ইসির নির্ধারিত ২০ হাজার টাকা করে জামানত দিতে হয়েছিল। সেই হিসাবে রাজবাড়ী-১ আসনের ৪ জন এবং রাজবাড়ী-২ আসনের ৪ জনসহ জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া ৮ জন প্রার্থীর কাছ থেকে মোট ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা পড়ল।