রাজধানীর খিলক্ষেত ও কোতোয়ালি থানার পৃথক তিন মামলায় বিএনপির ২৯ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত এ রায় দেন।
খিলক্ষেত থানার দুই মামলায় ২৬ জনের কারাদণ্ড
পাঁচ বছর আগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার নাশকতার পৃথক দুই মামলায় বিএনপির ২৬ নেতাকর্মীর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এর মধ্যে এক মামলায় ২০ জনের মধ্যে ১৩ জনকে দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় দুই বছর করে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেকের ছয় হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩০ দিনের সাজা দেওয়া হয়েছে। দুই ধারার সাজা একই সঙ্গে চলবে বিধায় তাদের দুই বছরের কারাভোগ হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, এস এম ফজলুল হক, আক্তার হোসেন, মোবারক হোসেন দেওয়ান, জহির উদ্দিন বাবু, মিজানুর রহমান রেনু, সোহরাব হোসেন স্বপন, সৈকতুল ইসলাম, শামসুল আলম ওরফে চঞ্চল, মজনু দর্জি, রেজাউল মেম্বার, মুজিবর মেম্বার, নজরুল ইসলাম ও আ. করিম।
একই মামলায় আরও ৭ জনকে দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় এক বছর করে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুই ধারার সাজা একই সঙ্গে চলবে বিধায় তাদের এক বছরের কারাভোগ করতে হবে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, শহীদুল ইসলাম খোকন, নুরুল ইসলাম মুরাদ, শামীম মোল্লা, মানিক মিয়া, সাখাওয়াত হোসেন ও আনোয়ার হোসেন। এছাড়া চার্জশিটভুক্ত বাকি ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন।
খিলক্ষেত থানার অপর মামলায় ৬ জনকে দণ্ডবিধির পৃথক তিন ধারায় দুই বছর করে ছয় বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তিন ধারার সাজা একই সঙ্গে চলবে বিধায় তাদের দুই বছরের কারাভোগ হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আক্তার হোসেন, মোবারক হোসেন দেওয়ান, মিজানুর রহমান রেনু, নূরে আলম তুহিন, জাকির হোসেন লিটন ও দিদার হোসেন।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত ২৩ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নাশকতার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে খিলক্ষেত থানায় মামলা দুটি দায়ের করে।
কোতোয়ালি থানার মামলায় তিন জনের কারাদণ্ড
আট বছর আগে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার নাশকতার মামলায় তিন জনের তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩০ দিনের কারদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শাহাদাত হোসেন খান, শহিদুল ইসলাম ও জুয়েল মৃধা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে।