ঢাকা শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫

Popular bangla online news portal

Rupalibank

আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ


নিউজ ডেস্ক
১৩:৪১ - রবিবার, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩
আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ

সকালের সূর্য দেখেই নাকি দিনের বাকিটা সময় আঁচ করা যায়। প্রবাদ অন্তত সে কথাই বলে। প্রথম ওভারেই নাঈম শেখ দুই চার দিয়ে শুরু করেছিলেন। তখনই ধারণা করা হয়েছিল, আজকের দিনটা অন্তত বাংলাদেশের হবে। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। দারুণ ব্যাটিংয়ে আফগানদের বিপক্ষে ৩৩৪ রানের বড় টার্গেট দাঁড় করিয়েছে টাইগাররা। দুই দলের লড়াইয়ে এটিই সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে নাজমুল হাসান শান্ত এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ১৯৪ রানের অনবদ্য জুটিতে ভর করে নতুন এক রেকর্ডের সাক্ষী হলো পাকিস্তানের লাহোর গাদ্দাফি স্টেডিয়াম। আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরের নতুন রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ। ম্যাচের ৪৮তম ওভারে রশিদ খানের বলে ছয় মেরে দলের রানকে ৩১১ তে নিয়ে যান সাকিব আল হাসান। এতেই আগের রেকর্ড ৩০৬ রান পার করে বাংলাদেশ। 

আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৩০০ এর বেশি করেছে মাত্র একবার। ২৩০ এর উপরে স্কোর উঠেছে মোটে ৬ বার। কিন্তু আগের সেই পরিসংখ্যান আর বাজে ব্যাটিংয়ের শঙ্কাকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। 

দিনের শুরুতেই চমক উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। শামীম পাটোয়ারীর অভিষেকের ম্যাচে মেহেদী মিরাজকে পাঠানো হয় মেইক শিফট ওপেনার হিসেবে। তাতে অবশ্য ফল এসেছে। নাঈম আর মিরাজের জুটি থেকে এসেছে ৬০ রান। মুজিবের বলে নাঈম বোল্ড হলে ভাঙে তাদের জুটি। 

এরপর উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। ২ বলে ০ করেই ফিরতে হয়েছে তাকে। এরপরেই আসেন নাজমুল হাসান শান্ত। শান্তর সঙ্গে মিরাজের জুটিও গড়েছে রেকর্ড। তৃতীয় উইকেটে আফগানদের বিপক্ষে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। রেকর্ড গড়া জুটির পথে মিরাজ-শান্ত দুজনেই পেয়েছেন সেঞ্চুরি।  

তবে সেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করা হয়নি কারোরই। মিরাজ মাঠ ছেড়েছেন চোট নিয়ে। টিভি রিপ্লেতে দেখে ধারণা করা হচ্ছে, আঙুলে ক্র্যাম্প হয়েছে। ফিজিওর সঙ্গে এরপর মাঠ ছাড়েন মিরাজ।

প্রাথমিক অবস্থায় চোট কতটা গুরুতর, বুঝা যায়নি। মিরাজ উঠে যান ১১৯ বলে ১১২ রান করে। তাতে ৭টি চারের সঙ্গে ছিল, ৩টি ছক্কার মার। আর শান্ত আউট হয়েছেন ১০৪ রানে। রানআউটের ফাঁদে পড়েছেন তিনি। 

শান্ত-মিরাজের বিদায়ের পর ক্রিজে থিতু হতে পারেননি কেউই। আসা যাওয়ার মিছিলেও অবশ্য সচল ছিল রানের চাকা। সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম খেলেছেন কার্যকরি ইনিংস। সাকিবের স্কোর ৩২ আর মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ২৫ রান। সবমিলিয়ে বাংলাদেশ থেমেছে ৩৩৪ রানে।