 
                      
                      
                      পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি আদায়ে সবাইকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) মিরপুর শেরেবাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কাফরুল উত্তর থানা জামায়াত আয়োজিত ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
থানা আমির রেজাউল করিম মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আশিকুর রহমানের সঞ্চালনায় ক্যাম্পে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক ডা. কর্নেল জিহাদ খান।
মুজিবুর রহমান বলেন, সুস্থতা আল্লাহ তায়ালার বড় নেয়ামত। মূলত, অসুস্থ হলে আল্লাহ তায়ালাই শিফা দান করেন। এজন্য আমাদের চিকিৎসার পাশাপাশি শেষ রাতে আল্লাহর কাছে ধর্না দিতে হবে। কারণ, চাইলেই তিনি বান্দাদের সবকিছু দিয়ে দেন-এ অঙ্গীকার আল্লাহরই। মূলত, চিকিৎসার ক্ষেত্রে আরোগ্যের চেয়ে প্রতিরোধই শ্রেয়তর। তাই আমাদের প্রত্যেককে স্বাস্থ্যসচেতন হতে হবে। পরিমিত আহার, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও দৈহিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সহ জীবনযাপনে অতিমাত্রায় সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। তাহলেই আমরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী দেশের গর্বিত নাগরিক হতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য সচেতন হলে বা সুস্থ থাকলে ব্যক্তির জীবন যেমন আনন্দঘন হয়ে ওঠে, ঠিক তেমনিভাবে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণে এবং জাতিকে সুখী-সমৃদ্ধ করতে আমাদের সচেতন হতে হবে। তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের সুচিন্তিতভাবে রায় প্রদান করতে হবে। ঢাকা-১৫ আসনে সংগঠন সর্বোচ্চ ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিয়েছে। জামায়াতে আমির শুধু দেশেই নন বরং আন্তর্জাতিকভাবেও বরেণ্য ব্যক্তি। তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে জনগণ তার যোগ্যতর খেদমত পাবেন। আর দল ক্ষমতায় গেলে তার যোগ্যতর নেতৃত্বে দেশে কুরআনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। যে রাষ্ট্রের ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সব মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে। দেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত।
অধ্যাপক মুজিব বলেন, সবার আগে দেশে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এ জন্য দরকার সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। বেড়িয়ে আসতে হবে ভোটচুরি-ডাকাতি, কেন্দ্র দখল সহ নির্বাচনে অবৈধ অর্থের ব্যবহারের অতীত অপসংস্কৃতি থেকে। ‘১০ হোন্ডা, ২০টা গুন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা’ এমন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি জনগণ আর দেখতে চায় না। ‘আমার ভোট আমি দেব; যাকে খুশি তাকে দেব’ সৃষ্টি করতে হবে এমন পরিবেশের। এজন্য দরকার প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি আদায়ে সবাইকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
 
                                       
                                       
                                       
                                       
                                       
                                       
                                       
                                       
                                       
                                       
                                       
                                       
                                       
                                       
                                      