জনপ্রিয় ট্রাভেল কোম্পানি আকাশবাড়ি হলিডেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) তৌহিদুল আলম মিল্কি অভিযোগ করেছেন, কোম্পানির পাঁচজন সাবেক কর্মী প্রতিষ্ঠানকে ‘বেইমানি ও অনৈতিক কার্যকলাপের’ মাধ্যমে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়েছেন।
এমডির ভাষ্যমতে, অভিযোগে যাদের নাম উঠে এসেছে তারা হলেন- ইমতিয়াজ, আবু বকর রাব্বি, তৌহিদুল ইসলাম মাসুম, তাজরীন আকতার এবং মোর্শেদ জুয়েল।
তৌহিদুল আলম মিল্কির দাবি, এরা দীর্ঘদিন ধরে আকাশবাড়ি হলিডেজে কর্মরত ছিলেন এবং প্রতিষ্ঠান থেকে লাখ লাখ টাকা বেতন ও সুবিধা ভোগ করেছেন। এমনকি অনেকেরই কোটি টাকার গাড়ি রয়েছে। কিন্তু গত কয়েক মাসে পর্যায়ক্রমে তারা মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন এবং অনৈতিক আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেন। এর মধ্যে কেউ কেউ এখনো আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র না পাওয়া সত্ত্বেও জাল ছাড়পত্র সংগ্রহ করেছেন।
এমডির ভাষ্যমতে, উল্লিখিত ৫ জন প্রায় ছয় মাস আগে 'ট্রিপোলজি' ও 'ফাস্ট ট্রিপ' নামে দুটি কোম্পানি গঠন করে ব্যবসা শুরু করেন।
তিনি দাবি করেছেন, আকাশবাড়ি হলিডেজের গুরুত্বপূর্ণ নথি, গ্রাহক যোগাযোগের তথ্য, পাসপোর্টের কপি, ডাটাবেস ও হার্ডডিস্ক ব্যবহার করে অবৈধভাবে নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন তারা।
মিল্কি অভিযোগ করেন, আমার অফিসে বসেই তারা আমার কাস্টমারদের প্রলুব্ধ করে নিজেদের কোম্পানিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ কারণে আমি প্রায় ১০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।
তার দাবি, কোম্পানির অন্তত ৩০ জন কর্মীকে প্রলোভন দেখিয়ে ওই নতুন প্রতিষ্ঠানে যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মনীষা আখতার, খলিল, মিজান, সুদীপ্তসহ অনেকে ইতোমধ্যে সেখানে যোগ দিয়েছেন। এমনকি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে যে মনীষা আখতার কোম্পানির ভেতরে অনৈতিকভাবে প্রবেশ করে গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়্যার ও নথিপত্র নষ্ট করেছেন।
এমডি মিল্কি বলেন, আমি সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় অভিযোগ দাখিল করেছি। উচ্চপর্যায়ে ঘুরছি, কিন্তু এখনো কোনো মামলা করতে পারিনি। কোম্পানিতে কোটি টাকার পেমেন্ট দেওয়ার সক্ষমতা হারাচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে ১৯০ জন কর্মচারী ও তাদের পরিবার- মোট প্রায় ৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, বাংলাদেশ কি এমন মগের মুল্লুক যেখানে চাকরি করতে এসে কেউ বেতন নিয়ে কর্তব্য না করে উল্টে কোম্পানির ভেতরেই বেড়া কেটে দেয়? আইন কানুন উপেক্ষা করে কি এভাবে নতুন কোম্পানি গড়া সম্ভব?