ঢাকা শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

রাজশাহী-৬ আসনে পুনরায় নির্বাচনের দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থীর


নিউজ ডেস্ক
১৫:২৭ - বুধবার, জানুয়ারী ১০, ২০২৪
রাজশাহী-৬ আসনে পুনরায় নির্বাচনের দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থীর

ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রাহেনুল হক। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে। প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তারা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. শাহরিয়ার আলমের হয়ে কাজ করেছেন। তাই আমি হেরেছি। 

বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাহেনুল হক।

রাহেনুল হক বলেন, ভোটে অনিয়ম হয়েছে। মোটামুটি দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট সঠিক ছিল। যারা ভোটের কাজে নিয়োজিত ছিলেন, পোলিং অফিসার থেকে প্রিসাইডিং অফিসারদের নিষ্ক্রিয়তা ও নীরবতা দেখেছি। পক্ষপাতিত্ব দেখেছি। আমি যখন অনেক সেন্টারে যাই, তখন পোলিং ও প্রিসাইডিং অফিসারদের দেখেছি যে তারা ঘর বন্ধ করে ঘরের মধ্যে কাজ করছেন। প্রশ্ন করি, আপনি প্রিসাইডিং অফিসার কেন দরজা বন্ধ করে বসে আছেন, আপনি প্রতিটা বুথে বুথে ঘুরে দেখবেন। আপনি কেন দরজা বন্ধ করে বসে আছেন। তার কোনো সদত্তুর তারা দিতে পারে না। এতে আমি মনে করি উনি কারো না কারো পক্ষে কাজ করে চলেছেন গোপনীয়ভাবে। বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হলেও ভোটকেন্দ্রে থাকা কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। দুপুর ১২টার পরে দেখা যায়, তারা সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় এবং তারা একটি পক্ষের হয়ে কাজ করেছে। এটা আমি উপলব্ধি করেছি।

নির্বাচনের পূর্বে বহুবার বলেছে ৭ তারিখের পরে দেখে নেওয়া হবে। তার দেখে নেওয়া শুরু হয়েছে। ৭ তারিখের পরে উনার কর্মীরা আমার কর্মীদের একের পরে এক বাড়িঘর পোড়ানো, মারধর শুরু করেছে। আমি শুনছি বিভিন্ন ইউনিয়নে তালিকা করছে। কারা কারা কাঁচি মার্কার কাজ করেছে। এ সমস্ত লোকদের বিভিন্নভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি করবে- এমন শঙ্কা আমি করছি। ইতোমধ্যে আমার কয়েকজন কর্মীকে মারধর করা হলেও থানা বা আইনের আশ্রয় নিয়ে এখনো মামলা করতে পারিনি। তারা মেডিকেলে আছে।

তিনি বলেন, টাকা-পয়সার মাধ্যমে অবশ্যই নির্বাচনকে একপাক্ষিক করেছে। এই নির্বাচনে আমি সন্তষ্ট নই। আমি অবশ্যই মনে করি এই আসনের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। অবশ্যই ফল বাতিলের দাবি জানাই। পুনরায় নির্বাচনের দাবি করছি। এ ব্যাপারে আমি লিখিত অভিযোগ দেব।

এ সময় ইউসুফপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান শফিউল আলম রতন, চারঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া, সরদহ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শওকত আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।