নির্বাচনের আগে তৃণমূল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যাঁরা ছিলো নিবেদিতপ্রাণ, ঠিক নির্বাচনের পরে, তাঁরাই অবহেলিত হয়ে পড়ে।
দলের সুবিধাভোগী, বিপুল দাপটে অর্থ-বিত্ত-ক্ষমতা থাকা ব্যক্তির কাছে, কোণঠাসা হয়ে পড়ে আছে রাজপথের তৃণমূল কর্মীরা।
কখনো কেউ তো বলেনাই অশ্রু কেমন আছো? তোমার বাবা মারা গিয়েছে কিভাবে সংসার এর হাল ধরেছো?
একটা ডিম দিয়ে দুবেলা ভাত খেয়েছি! কেউ জিজ্ঞেস করে নাই বাসায় খাওয়ার আছে?
আমি না হয় অভাগা, আমার মত এমন লাখো অভাগা আছে। যারা নির্বাচনের আগে, রাজপথে দলের জন্য পরিশ্রম করে গিয়েছে।
কত ভাইকে যে বললাম, ভাই একটা কাজ দেন কিছু করে খাই, একটা চাকরি দেন মা কে ভালো রাখার চেষ্টা করি। কেউ সাড়া দেয় নাই!
সকাল থেকে রাত দলের জন্য রাজপথে কাজ করেছি। খাওয়া -দাওয়া,নিজের শরীর প্রতি ছিলো না কোন যত্ন। শুধু রাজনীতিতে ছিলো আমার পূর্ণ মনোযোগ। খাওয়া-দাওয়ার অনিয়মে, পরিশ্রান্তের অভাবে শরীরে বাঁধতে শুরু করে রোগের বাসা।
রাজনীতি আমার পেশা নয়, রাজনীতি আমার নেশা! পদ পদবির জন্য এক দু'বছর রাজনীতি করে বড় নেতা বনে যায়। আর তৃণমূল কর্মীরা দলের জন্য জীবনযৌবন দিয়ে ও দলে অবহেলিত মুখ।
তৃণমূল কর্মীদের সুযোগ দিলে হয়তো স্বার্থ হাসিল হতো না! দলের সুযোগ নিয়ে, রাজপথের কর্মীদের ব্যবহার করে টাকার পাহাড় করেছে সুবিধাভোগীরা।
মামলা হামলা শিকার, জেল-জুলুম নির্যাতনে শিকার রাজপথে বঙ্গবন্ধু আদর্শ ধারণ করা সৈনিকেরা।
আল্লাহ যদি বাঁচিয়ে রাখে। কোন একদিন আওয়ামী পরিবারের একমাত্র অভিভাবক , আমার আপার কাছে যাইতে পারি, সেদিন আমি প্রমান সহ আপাকে বলবো, আপা আপনার মাঠের কর্মীরা ভালো নাই হতাশ!
চাকরির বাজারে শিবির, বিএনপিরা সুযোগ পাচ্ছে। রাজপথে ছাত্রলীগ কর্মীদের চাকরির বাজারে জায়গা নাই। কারন টাকা দিতে পারবেনা। মন খুলে সব বলবো আমার আপাকে।
দলের জন্য শ্রম দিলে অবহেলার শিকার হতে হয়, আর টাকা দিলে নেতা হওয়া যায়।