নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে শাওন প্রধানের নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। শাওনের বড় ভাই মিলন প্রধান গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর মডেল থানায় অজ্ঞাত পাঁচ হাজার জনকে আসামি করে এ মামলা করেন।
মামলার এজহারে বলা হয়, অবৈধ অস্ত্রের আঘাতে শাওনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের দায়ী করা হয়। বলা হয়, তারা যখন অবৈধ অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করছিল, তখন শাওন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে শাওন নিহত হন। এ ঘটনার পর থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা তাকে যুবদলের কর্মী বলে দাবি করে আসছেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও তাকে যুবলীগের কর্মী দাবি করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন। দাবি করা হচ্ছে, পুলিশের গুলিতে নিহত হন শাওন।
শাওনের স্বজনরা জানান, ফতুল্লার নবীনগর বাজারে ওয়ার্কশপ মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন শাওন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তিনি ওয়ার্কশপের মালামাল কিনতে বাসা থেকে বের হন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান মোল্লা বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলার জেরে শাওন নিহত হন, এমন অভিযোগে শাওনের বড় ভাই হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশও মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ওই সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।