ঢাকা বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

ছয় দফা দাবি নিয়ে সড়কে খামারিরা


নিউজ ডেস্ক
১০:৪৫ - বুধবার, মে ২৫, ২০২২
ছয় দফা দাবি নিয়ে সড়কে খামারিরা

সরাসরি খামারি পর্যায়ে সরকারি সহায়তা, গোখাদ্যের দাম কমানো ও দুধের মূল্যবৃদ্ধির দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন খামারিরা। এ সময় আসন্ন বাজেটে পশুখাদ্যে ভর্তুকি প্রদানসহ ছয় দফা দাবি জানিয়ে প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ঘেরাও করে খামারিরা।

বুধবার (২৫ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর নগরীর স্টেশন রোড প্রাণিসম্পদ কার্যালয় চত্বরে সংগঠন রংপুর ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে খামারিরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচিতে দূর-দূরান্ত থেকে সঙ্গে গরু নিয়ে অনেক খামারি অংশ নেন।

খামারিদের অভিযোগ, গোখাদ্যের দাম বাড়ছে। তাতে গরু পালন করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। পশুখাদ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ আনুষঙ্গিক খরচ বেশি হওয়ায় অনেক খামারি বাধ্য হয়ে গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন। কয়েক মাসের ব্যবধানে খামারগুলোয় গরুর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। দুই মাস আগে যে গোখাদ্যের কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ছিল, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা। এ অবস্থায় দুধের উৎপাদন খরচ প্রতি কেজিতে ৬০ টাকার বেশি।

তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, এখন দুধ বিক্রি কলে লোকসান হচ্ছে। বর্তমানে মিল্ক ভিটা, প্রাণ, ব্র্যাকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খামারিদের কাছ থেকে লিটারপ্রতি দুধ নিচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায়। প্রতি লিটারে ২০ টাকা করে লোকসান হচ্ছে। পশুখাদ্যের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে দুধের মূল্য বাড়ানো দরকার।

আসন্ন বাজেটে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গোখাদ্যে ভর্তুকি দাবি করে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম আসিফুল ইসলান বলেন, ভর্তুকি ছাড়া এই শিল্পটা টিকে রাখা কষ্টকর হবে। করোনা মহামারির সময় থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারছি না। একটার পর একটা সমস্যা-সংকটে আমাদের খামারিদের অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাওয়া, দুধের দাম বাড়ানো ও সরকারি উদ্যোগে খামারিদের রেশনিং পদ্ধতিতে পশুখাদ্য সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা হোক।

রংপুর ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লতিফুর ইসলাম মিলন বলেন, জেলায় ছোট-বড় মিলে প্রায় ১০ হাজার খামারি রয়েছেন। গত সাত-আট মাসে অনেকেই তাদের খামার থেকে গরু বিক্রি করে দিয়েছেন। পশুখাদ্যের দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় আমাদের প্রান্তিক খামারিরা সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন। সামনে কোরবানি ঈদ, তারপরও খামারি গরু ধরে রাখতে পারছেন না। আর কত দিন আমরা ভর্তুকি দিয়ে চলব। সরাসরি খামারি পর্যায়ে রাষ্ট্রীয় সহায়তা দিতে হবে। একই সঙ্গে বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে উৎপাদিত দুধের দাম বাড়াতে হবে।

ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালে আরও বক্তব্য দেন জেলা ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি মুইব ইবনে ফেরদৌস শান্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, ওয়েজ করনী বাবু, খামারি শরিফুল ইসলাম, আজম পারভেজ, মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।

বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ রংপুরের পরিচালক ওয়ালিউর রহমান আকন্দ বলেন, খামারিদের দাবি-দাওয়ার বিষয়গুলো নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব। এখানে আমার করার কিছু নেই। তাদের দাবিগুলো সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ভেবে দেখবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে খামারিদের দাবিগুলোর যৌক্তিকতা রয়েছে।