ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই বলেছেন, ইসলামবিদ্বেষী কতিপয় এনজিওদের অপতৎপরতায় ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষা, সংস্কৃতি ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে।
তিনি বলেন, মুসলিম শিশুরা ভোরে মক্তবে কুরআন শিক্ষা করতো। শিশুদেরকে কুরআন বিমুখ করার লক্ষ্যে স্কুলগুলো ভোরে খুলে দিয়ে ইসলাম ও কুরআন শিক্ষা থেকে দূরে সরানোর জন্যে চক্রান্ত চলছে। এজন্য ৬৮ হাজার গ্রামে ৬৮ হাজার কুরআনি মক্তব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড গঠন করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে প্রায় ১০ হাজার মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
গতকাল রোববার রাজধানীর আরমানিটোলা খেলার মাঠে বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পীর চরমোনাই বলেন, ইসলামী ও ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে মানুষ বিপথগামী হচ্ছে। অনেক মানুষ অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। সামাজিক অবক্ষয় চরম আকার ধারণ করেছে। সামাজিক অবক্ষয়ের মারাত্মক অবনতির ফলে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে যুবসমাজ। এতে দিন দিন বেড়েই চলছে অবাধ মেলামেশা। কিশোর গ্যাং বর্তমান সময়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। মানবিকতা, নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ, ধর্মীয় শিক্ষা, পারিবারিক শিক্ষার অভাবে এমন অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে।
মুফতি রেজাউল করীম বলেন, শিক্ষা কারিকুলামের মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেওয়ার সব আয়োজন সম্পন্ন। অন্যদিকে সমকামিতাকে প্রমোট করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয়ভাবে। কারিকুলাম থেকে ইসলামী ভাবধারার গল্প, কবিতা বাদ দিয়ে রাম, রামায়ণসহ হিন্দুয়ানি সংষ্কৃতিকে প্রধান্য দেওয়া হয়েছে। এভাবে বিরানব্বইভাগ মুসলমানের শিক্ষা সিলেবাস থেকে ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ তুলে দেওয়া হয়েছে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাকুশি বোর্ডের মহাসচিব আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, হাজী এম.এ মান্নান, মুফতী ওয়ালীউল্লাহ, মাওলানা আনোয়ার হোসেন জেহাদী, মুফতি জিয়া বিন নূর। অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন— কুরআন শিক্ষা বোর্ড ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি হাজী মো. মনির হোসেন, বাবুবাজার জুমা মসজিদের মুতাওয়াল্লি হাজী টিপু সুলতান, মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হাজী মো. জাকির হোসেন রনি, বাকুশি বোর্ডের নির্বাহী সভাপতি আব্দুর রহমান, সেক্রেটারি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াদুদ।