ঢাকা শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

নয়াপল্টনে সমাবেশের বিষয়ে অনড় বিএনপি: রিজভী


নিউজ ডেস্ক
১৫:৫২ - মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৬, ২০২২
নয়াপল্টনে সমাবেশের বিষয়ে অনড় বিএনপি: রিজভী

নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে বিএনপি অনড় বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত যেখানে নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সেখানে। আমাদের দলের পক্ষ থেকে ডিএমপি কার্যালয়ে প্রতিনিধি দল গিয়ে অন্য যেখানে সমাবেশের প্রস্তাব দিয়ে এসেছে সেটাও তো পুলিশ প্রশাসন শুনছে না। তারা (পুলিশ প্রশাসন) বলছে তারা নাকি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের বিষয়ে অনড়। পুলিশ প্রশাসন যদি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনড় থাকে আমরা এখানে (নয়াপল্টনে) সমাবেশের বিষয়ে অনড়। তারা হয়তো অনেকভাবে ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করতে পারে আমাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমরা মনে করি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নিরাপদ নয়।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ নিয়ে পুলিশের টানাহেঁচড়ায় দেশবাসী ক্ষুব্ধ। বিএনপির মতো একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশের কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য এক পরিকল্পিত নীলনকশায় মেতেছে সরকার। সমাবেশের ভেন্যু নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতার দোলাচল তৈরির পরিস্থিতি সরকারের অসৎ অনাচারের বহিঃপ্রকাশ। বিএনপির গণসমাবেশ নিয়ে প্রশাসনের বাড়াবাড়ি, গুজব রটানো, রঙচড়িয়ে কথা বলা যেন সরকারেরই মানসিক বৈকল্যের বর্ধিত প্রকাশ।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ঢাকার গণসমাবেশকে নিয়ে টালবাহানায় আবারও প্রমাণিত হলো- অগণতান্ত্রিক শক্তির দোসররা কখনোই গণতান্ত্রিক শক্তির মিত্র হতে পারে না। বিএনপির সঙ্গে অবৈধ সরকার শত্রুতা করতে পারে, কিন্তু তাদের মনে রাখতে হবে বিএনপির বন্ধু অসংখ্য। জনগণই বিএনপির সবচেয়ে বড় বন্ধু। এত ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের মাঝেও বিএনপি এখনও দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি।

রিজভী আরও বলেন, বিএনপির গণসমাবেশকে নিয়ে সরকারের কপালে কেন এত দুশ্চিন্তার ভাঁজ? ওবায়দুল কাদের সাহেবরা কেন এত বিচলিত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র অভিলাষী নেতারা গণসমাবেশকে নিয়ে বানোয়াট গল্প প্রচারে নেমেছে। আর এই বানোয়াট গল্পকে নিয়ে পুলিশ প্রশাসন অতিউৎসাহী হয়ে ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে ‘ক্র্যাকডাউন’ চালাচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি চলছে গ্রেফতার, গ্রেফতারের নামে পুলিশি তল্লাশি, আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ পরিবারের লোকজনের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যে, বিএনপি নেতাকর্মীদের বাঁচা অর্থ কায়ক্লেশে বেঁচে বর্তে থাকা।

তিনি বলেন, পুলিশের কাছে এখন নিরপেক্ষতা কোনো বিবেচ্যবিষয় নয় বরং দলীয় আনুগত্য গুরুত্ব পেয়ে থাকে। এদের বিবেচনাশক্তি থাকলে বিএনপির ঢাকার গণসমাবেশ নিয়ে বাড়াবাড়ি করতেন না। আজ আওয়ামী ফ্যাসিবাদ চলছে বলেই রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গকে দলীয় চেতনায় সংগঠিত করা হয়েছে। বিচারব্যবস্থা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারছে না। দলীয়করণের রাজনীতি গণতান্ত্রিক রাজনীতি নয়। বিরোধী দল শত্রুদল নয়। বিএনপির রাজনীতি জনস্বার্থকেন্দ্রিক। জনসমাবেশে জনগণের পক্ষেই কথা বলা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপু, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, যুববিষয়ক সহ-সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।