ঢাকা শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ ছাড়াই চলে তাজুলের মোটরসাইকেল


নিউজ ডেস্ক
২:৩২ - শনিবার, নভেম্বর ১৯, ২০২২
তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ ছাড়াই চলে তাজুলের মোটরসাইকেল

নিজের প্রচেষ্টায় যে অনেক কিছু করা সম্ভব সেটাই প্রমাণ করলেন কিশোরগঞ্জের এক আইনজীবী। তিনি নিজস্ব প্রযুক্তিতে একটি মোটরসাইকেল তৈরি করেছেন। যা তেল-গ্যাস এবং বৈদ্যুতিক চার্জ ছাড়াই চলবে। এতে কোনো ধরনের খরচ লাগবে না।

জানা গেছে, তাজুল ইসলাম (৫২) পেশায় একজন আইনজীবী। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী। দীর্ঘ ১৮ বছর সাধনার পর মোটরসাইকেলটি তৈরি করেছে তিনি। এটি ধোঁয়াবিহীন শতভাগ পরিবেশবান্ধব। খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। সরকারি-বেসরকারি সহায়তা পেলে ভবিষ্যতে বাণিজ্যিকভাবে এমন মোটরসাইকেল উৎপাদন করতে চান তিনি।

তাজুল ইসলামের এমন আবিষ্কার রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দিয়েছে জেলায়। কিছু দিন তিনি এই মোটরসাইকেল নিয়ে বাসা থেকে কোর্টে পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করছেন। তার আবিষ্কৃত মোটরসাইকেলটি দেখতে প্রতিদিন উৎসুক জনতা ভিড় করছেন কোর্ট প্রাঙ্গণে।

আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, কুলিয়ারচর থেকে কোর্টে আসতে চার্জের মোটরসাইকেল কিনে ছিলাম। আসার সময় মোটরসাইকেলে আসলেও যাওয়ার সময় সেটি টমটম গাড়িতে করে বাড়িতে নিতে হতো। সেই কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে মোটরসাইকেল তৈরি করেছি।

তিনি আরও বলেন, মোটরসাইকেল তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। প্রথমে বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল তৈরির যন্ত্রাংশ ক্রয় করি। পরে আদালতে নিজস্ব চেম্বারে কাজের ফাঁকে ফাঁকে ১২ ভোল্টের ৪টি ব্যাটারি, একটি বৈদ্যুতিক মোটরের সঙ্গে ডায়নামো স্থাপন করে মোটরসাইকেলটি তৈরি করি। মোটরসাইকেলের চাকা চলারসিঙ্গে সঙ্গে ডায়নামোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হবে ব্যাটারি। কোনো ধরনের জ্বালানি খরচ ছাড়াই যাওয়া যাবে দেশের যেকোনো প্রান্তে। যার চলার গতি হবে ৭৫ কিলোমিটার। বিনোদনের জন্য ভেতরে সাউন্ড সিস্টেমেরও ব্যবস্থা রয়েছে। 

তিনি বলেন, মোটরসাইকেলটি বাজারজাত করতে পারলে জ্বালানি সংকট কমে আসবে। পাশাপাশি দেশের যুবকদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। বাণিজ্যিকভাবে মোটরসাইকেল উৎপাদন করতে আমি সরকারের সহযোগিতা চাই। এছাড়া এই পদ্ধতি অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে কাজে লাগানো যেতে পারে।

অ্যাডভোকেট অ ন ম তানভীর হায়দার ভূঞা বলেন, আমাদের সিনিয়র আইনজীবী তাজুল ইসলাম স্যারের তৈরি মোটরসাইকেল তেল-গ্যাস ছাড়াই চলে। এটি রিচার্জেবল বাইক। এই পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনও সম্ভব বলে জানিয়েছেন স্যার। তার মোটরসাইকেল বাজারজাতকরণে সরকারি-বেসরকারি সহায়তা যেন পান এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।