ঢাকা শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

ঢাকায় বিশেষায়িত নলেজ-শেয়ারিং সেন্টার চালু করল হুয়াওয়ে


নিউজ ডেস্ক
১২:০৬ - বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১০, ২০২২
ঢাকায় বিশেষায়িত নলেজ-শেয়ারিং সেন্টার চালু করল হুয়াওয়ে

ঢাকায় ‘হুয়াওয়ে বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি’ নামে একটি বিশেষায়িত নলেজ-শেয়ারিং সেন্টার চালু করেছে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ। ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ গুলশানের বে’স গ্যালারিয়ায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ খলিলুর রহমান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া (সিনিয়র সচিব) ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান জুনফেং, চিফ টেকনিক্যাল অফিসার মাজিয়ান-সহ অন্যান্য ঊচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। আরও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সাত হাজার বর্গফুটের হুয়াওয়ের এই অ্যাকাডেমিটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত। অত্যাধুনিক আইসিটি প্রযুক্তি ও সল্যুশন, ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স ছাড়াও গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গবেষণা ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের মাধ্যমে হুয়াওয়ে যা অর্জন করেছে সে সকল জ্ঞানও এখানে সরকারি কারিগরি কর্মকর্তা, টেলকো অপারেটর, অ্যাকাডেমিশিয়ান, সিএসই/ইইই শিক্ষার্থীসহ সামগ্রিক ইকোসিস্টেম পার্টনারদের কাছে তুলে ধরা হবে।

এই অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশ চলমান রয়েছে। এখন বাংলাদেশ এই অঞ্চলের মেধার কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে। হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে, তা হলো বাংলাদেশ এ অঞ্চলের ট্যালেন্ট হাবে পরিণত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। অন্যদিকে, বহু বছর থেকে গবেষণা ও উন্নয়নে নিজেদের বিশাল বিনিয়োগের ফলে হুয়াওয়ে অসংখ্য আইসিটি পেটেন্ট এবং জ্ঞান অর্জন করেছে এবং অনেকগুলো বছর ধরে বাংলাদেশে নতুন-নতুন প্রযুক্তি ও সল্যুশন নিয়ে আসার মাধ্যমে হুয়াওয়ে আমাদের টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছে। হুয়াওয়ে বাংলাদেশ অ্যাকাডেমির লক্ষ্যও এর ব্যতিক্রম নয়। আমি সত্যিকারভাবে হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এ একাডেমি বাংলাদেশের আইসিটি খাতের বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।”

এই নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, “ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে বড় উদাহরণ। এক্ষেত্রে চীন বাংলাদেশের সাথে এর প্রযুক্তিগত দক্ষতা বিনিময় করতে পারে। হুয়াওয়ে চীনের অন্যতম অন্যতম সেরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং এটি গবেষণা ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের মাধ্যমে বিশ্বের তথ্য-প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব প্রদান করছে।”

তিনি আরো বলেন, “হুয়াওয়ে বাংলাদেশে ২৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি এদেশে নিজস্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে; যা বেশ আশাব্যঞ্জক বলে আমি মনে করি। হুয়াওয়ে বাংলাদেশ অ্যাকাডেমি বাংলাদেশের ইকোসিস্টেম সহযোগীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”