অবৈধ ও অনিবন্ধিত ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে আবারও কঠোর অভিযান শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অভিযান কার্যক্রমের প্রথম দিনে নিবন্ধন না থাকায় বনানীর হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট অ্যান্ড কসমেটিক সার্জারি সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরের উপস্থিতিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় অভিযান প্রসঙ্গে আহমেদুল কবীর বলেন, এখানে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট, লেজার ট্রিটমেন্ট, ফিজিওথেরাপিসহ চুলের নানা চিকিৎসা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারা নাকি জানতেন না যে লেজার ট্রিটমেন্টের জন্য অধিদপ্তরের অনুমোদন দরকার। এজন্য আমরা এই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দিয়েছি। এছাড়াও এখানে ভারতের যে চিকিৎসক ডা. মনোজ খান্না লেজার ট্রিটমেন্ট চিকিৎসা দিয়ে থাকেন বলে ছবি লাগানো হয়েছে। কিন্তু ওই চিকিৎসক এখানে চিকিৎসা দিতে আসেন না।
তিনি জানান, আমাদের অভিযান চলমান থাকবে বিকেলে সব বিষয়ে একসঙ্গে জানানো হবে।
এসময় হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট অ্যান্ড কসমেটিক সার্জারি সেন্টারের কর্তৃপক্ষ জানায়, আমরা জানতাম না যে লেজার ট্রিটমেন্টের জন্য অনুমোদন লাগবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে এখানে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের পরিবেশ নেই।
এর আগে রোববার (২৮ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অবৈধ ও অনিবন্ধিত ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে আবারও জোর অভিযানের কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেছিলেন, প্রথম দফায় অভিযান পরিচালনা শেষে এখনও অসংখ্য অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়ে গেছে। আবারও কঠোর অভিযান পরিচালনা করব।