ঢাকা শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

যুদ্ধবন্দিদের খাঁচায় ভরে বিচারের পরিকল্পনা রাশিয়ার


নিউজ ডেস্ক
৪:৩৬ - বুধবার, আগস্ট ২৪, ২০২২
যুদ্ধবন্দিদের খাঁচায় ভরে বিচারের পরিকল্পনা রাশিয়ার

রুশ-অধিকৃত মারিউপোলে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিদের (পিওডব্লিউ) খাঁচায় ভরে বিচার করার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় এই তথ্য সামনে এনে বলেছে, রাশিয়ার এমন পরিকল্পনার খবরে তারা উদ্বিগ্ন।

জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইউক্রেনের মারিউপোল শহরের কনসার্ট হলে ধাতব খাঁচা তৈরি করা হয়েছে বলে প্রমাণ রয়েছে। দৃশ্যত যুদ্ধবন্দিদের বিচারের সময় আটকে রাখতে এটি তৈরি করা হয়েছে। বুধবার (২৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

জাতিসংঘ বলেছে, যুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য যুদ্ধবন্দিদের বিচার করা একটি যুদ্ধাপরাধ। রাশিয়া অবশ্য এর আগে যুদ্ধবন্দিদের সাথে অন্যায় আচরণ করার কথা অস্বীকার করেছে।

বিবিসি বলছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা কিছু ছবিতে মারিউপোল শহরের ফিলহারমোনিক হলের মঞ্চে ধাতব খাঁচা তৈরি করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। প্রকাশ্যে আসা এসব ছবির বেশ কিছু আবার ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষও পোস্ট করেছে।

বিবিসি যাচাই করে দেখেছে যে, ছবিগুলো ওই হলের অনুষ্ঠানস্থলের অভ্যন্তরের সাথে মিলে যাচ্ছে এবং গত চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে এসব ছবি তোলা হয়েছে।

ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগ, গত মে মাসে রাশিয়ান বাহিনীর হাতে পতনের আগে মারিউপোল শহর রক্ষা করার সময় বন্দি হওয়া ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিদের বিচার শুরুর পরিকল্পনা করছে রাশিয়া।

প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলার সময় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে যুদ্ধবন্দিদের বিচারের সময় এই খাঁচায় আটকে রাখার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে এবং এই ধরনের পরিকল্পনা ‘গ্রহণযোগ্য নয়’ ও ‘অপমানজনক’।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের একটি বিবৃতিতে রাভিনা শামদাসানি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুযায়ী শুধুমাত্র যুদ্ধবন্দিদের বিচার করার জন্য আদালত প্রতিষ্ঠা করা নিষিদ্ধ এবং এটি ইচ্ছাকৃতভাবে একজন যুদ্ধবন্দিকে ন্যায্য ও নিয়মিত বিচারের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। যা কার্যত যুদ্ধাপরাধের সমান।’ 

তিনি আরও বলেছেন, যুদ্ধবন্দিদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগ আনা হলে তারা ন্যায্য বিচার পাবে না বলে জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন।