দেশের পপুলেশন ডিভিডেন্ডের সুবিধাকে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে। যাত্রা শুরু করেছে ফিউচারণেশন। গ্রামীণফোন, ইউনাইটেডে নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএখারাপ) ও বাংলাদেশ বিনিকের উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অংশীদারিত্বমূলক কর্মসূচি ফিউচারদেশনা, দেশের ভবিষাৎ উন্নয়নে সরকার বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন খাতের অংশীদারিত্বের এক অনন্য উদাহরণ। এ কর্মসূচির উন্মোচন উপলক্ষ্যে আজ রাজধানীর শেরাটন ঢাকায় এক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
'ফিউচারনেশন: গ্র্যাজুয়েট এমপ্লয়মেন্ট ইন প্রাইভেট সেক্টর প্রোগ্রাম' শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী
জুনাইদ আহমেদ পলক, বিভার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, ইউএনডিপি'র (টিবিসি) স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজর রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, ইউএনডিপি'র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি এবং গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান।
ইউএনডিপি'র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জির স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে অনুষ্ঠানের অন্যান্য অতিথিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে 'গ্র্যাজুয়েট এমপ্লয়মেন্ট চ্যালেঞ্জেস ইন বাংলাদেশ; শীর্ষক এক প্যানেল রাখেন বিভা'র > নির্বাহী সদস্য ৩ (ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন) মোহসিনা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-০১) বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বেসিসের চেয়ারম্যান রাসেল টি আহমেদ: ইউনিলিভার বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার, ইউএনডিপির পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী: টেলিনর মালকোর ইনভেস্টমেন্ট ডিরেক্টর হাকোন ব্রুন্মাসেত জোল; ইউএনডিপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ইকোনমিস্ট নাজনীন আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিই সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক রাশেদূর রহমান। ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ ভ্যান নুয়েনের ভোট অব ব্যাংকস প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
ফিউচারনেশন গঠনের মূল লক্ষ্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সহায়তা করার মাধ্যমে তরুণ গ্র্যাজুয়েটদের জন্য টেকসই অর্থনৈতিক সুযোগ উন্মোচন করা, যাতে, এ তরুণ গ্র্যাজুয়েটরা শিল্পখাতের নতুন ট্রেন্ডগুলোর সাথে মানিয়ে নিতে পারেন। এছাড়াও, এ প্রোগ্রামের লক্ষ্য ডিজিটাল ও আর্থিক স্বাক্ষরতা, যোগাযোগ, বিজনেস অ্যাপ্রিশিয়েশন সহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করা তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার হ্রাস করা। বর্তমানে বাংলাদেশে ৭ কোটি কর্মক্ষম মানুষ রয়েছে, যা আগামী দশকে আরও বৃদ্ধি পাবে এবং এক্ষেত্রে বেশিরভাগই তরুণ। দেশের এই তরুণ জনসংখ্যার জন্য সামনের দিনগুলোতে উপযুক্ত কাজের সুযোগের প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে, ফিউচারনেশনের লক্ষ্য সম্ভাবনাময় এ মানবসম্পদকে শক্তিশালী ইকোসিস্টমের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলা, যেনো ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সবার জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করা সম্ভব হয়। এ প্রোগ্রাম থেকে নিজেদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করে তরুণরা দেশ ও দেশের বাইরে উচ্চ-বেতনের চাকরি করতে পারবেন, তাদের উচ্চআয়ের সম্ভাবনা বাড়বে এবং তারা দেশের অর্থনীতিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে ভূমিকা রাখতে পারবেন।।
ফিউচারনেশন দেশে 'হোম-গ্লোন অ্যাপটিটিউড অ্যাসেসমেন্ট টুল-এর উন্নয়নে কাজ করবে, যার মাধ্যমে করপোরেট ও বেসরকারি খাত তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকা উপযুক্ত কর্মী খুঁজে পাবে। এ টুল প্রার্থীর কোনো কাজ
শেষ করার স্বভাবজাত দক্ষতা সম্পর্কে জানতে ও মূল্যায়ন প্রদানে সহায়তা করবে। পাশাপাশি, তাদের পারফরমেন্স বৃদ্ধিতে এ টুল ডিজিটাল ও আর্থিক স্বাক্ষরতা, যোগাযোগ, বিজনেস অ্যাপ্রিশিয়েশন সহ নানা ক্ষেত্রে বেসিক ট্রেইনিং প্রদান করবে।
এ প্রোগ্রামের জন্য ওয়ালটন, আকিজ, প্রাণ-আরএফএল, আবুল খায়ের গ্রুপ, নাসির গ্রুপ, নগদ এবং এসিআই সহ স্বনামধন্য অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে সম্ভাব্য নিয়োগদাতা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, পাশাপাশি, এ প্রোগ্রামের জন্য সম্ভাব্য।