মিরাজ উদ্দিন:: এক সময় গ্রামীণ বাংলার ঐতিহ্য বহন করত কাচারি ঘর। যুগের বিবর্তনে ও আধুনিকায়নের ফলে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী এই কাচারি ঘর। গ্রামের প্রভাবশালী, জমিদার,মোড়লদের বাড়িতে এই কাচারি ঘরের দেখা মিলত। কাঠের কারুকাজ করা টিন অথবা শনের ছাউনির আদলে গড়ে ওঠত কাচারি ঘর।
মূলবাড়ি থেকে একটু বাইরে আলাদা খোলামেলা পরিবেশে কাচারিঘর গড়ে ওঠত। পথচারী,অতিথি অথবা সাক্ষাৎপ্রার্থীরা এই ঘরে এসে বসতেন। প্রয়োজনে রাত্রী যাপনেরও ব্যবস্থা থাকত কাচারিঘরে। বর্তমানে কাচারিঘর তেমন নিশ্চিহ্ন প্রায়।
ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায় ঈশা খাঁ'র আমলে কর্মচারীদের খাজনা আদায়ের জন্য কাচারি ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। এছাড়াও গ্রাম্য জমিদার ও মোড়লদের সময়ও খাজনা আদায় করা হতো কাচারি ঘরে বসে।
এছাড়াও আলোচনা, সালিশ, বৈঠক, সকাল বেলা শিশুদেরকে কুরআন শিক্ষা, এছাড়াও কোন পথিক আসলে কাচারি ঘরে থাকার সুযোগ পেত পাশাপাশি গল্প-আড্ডার আসর বসত কাচারিঘর ঘিরে। বর্ষাকালে কাচারিঘরে বসে পুঁথিপাঠ, শায়ের শুনে মুগ্ধ হতেন শ্রোতারা।