আফ্রিকা থেকে ছড়ানো মাঙ্কিপক্স এবার শনাক্ত হয়েছে ভারতে। দেশটির কেরালায় প্রথম শনাক্ত হলো এ রোগ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক পর্যটকের শরীরে শনাক্ত হয়েছে এ রোগের জীবাণু। ওই ব্যক্তির শরীরে কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার নমুনা পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়। পরে তার রিপোর্ট পজিটিভি আসে। জি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইতোমধ্যে বিশ্বের ৫৮টি দেশে ছড়িয়ে মাঙ্কিপক্স। ৭ মে ইংল্যান্ডে প্রথম ধরা পড়ার পর ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। রোগ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন দেশকে কড়া সতর্কতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
১৯৫৮ সালে প্রথম মাঙ্কি পক্সের ভাইরাসের হদিস মিলেছিল। কঙ্গোতে ১৯৭০ সালে প্রথম মানবদেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়। ব্রিটেনে ২০১৮ সালে প্রথম বার এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর খোঁজ পান বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সে বার এ হারে ছড়ায়নি সংক্রমণ।
মাঙ্কিপক্স এমন একটি ভাইরাসবাহিত রোগ যা সাধারণত মৃদু অসুস্থতা সৃষ্টি করে এবং অধিকাংশ আক্রান্ত ব্যক্তিই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। এটি খুব সহজে একজন মানুষ থেকে আরেকজন মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে না এবং মনে করা হয় বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে এটি ছড়ানোর সম্ভাবনা কম।
মাঙ্কিপক্সের কোনো সুনির্দিষ্ট টিকা নেই। তবে গুটিবসন্তের টিকা নিলে তা মাঙ্কিপক্সের বিরুদ্ধেও ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা দিয়ে থাকে, কারণ এ দুটি ভাইরাসের অনেক মিল আছে।
তবে এবার মাঙ্কিপক্সের যে বিষয়টা অনেক বিশেষজ্ঞকে চিন্তায় ফেলছে তা হলো- আগে কারো মাঙ্কিপক্স হলে তার সাথে পশ্চিম বা মধ্য আফ্রিকার সংযোগ সহজেই বের করা যেতো। কিন্তু এবার এই প্রথমবারের মতো ভাইরাসটি এমন লোকের মধ্যে দেখা যাচ্ছে যাদের সাথে ওই দুটি অঞ্চলের কোনো স্পষ্ট যোগাযোগ দেখা যাচ্ছে না। এখন যাদের মাঙ্কিপক্স হচ্ছে তারা কোথা থেকে সংক্রমিত হচ্ছে তাও স্পষ্ট নয়।