ঢাকা শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

ঈদে পর্যটক বরণে প্রস্তুত কক্সবাজার


নিউজ ডেস্ক
৮:২৬ - সোমবার, জুলাই ৪, ২০২২
ঈদে পর্যটক বরণে প্রস্তুত কক্সবাজার

ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের সমাগমের সম্ভাবনা দেখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এ জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। হোটেল, মোটেলগুলো নতুন সাজে সাজানো হচ্ছে, চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। ইতোমধ্যে তারকা হোটেলগুলোর রুম ৫০ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে।

এদিকে দেশে চতুর্থ ধাপে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির দিকে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়ও করোনা শনাক্ত ধরা পড়েছে। তাই করোনা সংক্রমণ নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় আছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। যেখানে পাহাড়, সাগর ও প্রকৃতির রয়েছে অপরূপ মিতালি। সাগরের ঢেউ আছড়ে পড়া, ঢেউয়ের সঙ্গে দোলা ডিঙিনৌকা, সাগরের বিশাল বালিয়াড়িতে খেলা করা লাল কাঁকড়ার দলের আঁকা আলপনা— এসব কিছু পর্যটকদের আকর্ষিত করে। তাই তো টানা ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের কাছে কক্সবাজারের সৈকত হয়ে ওঠে এক টুকরা শান্তি নীড়।

এবারের ঈদে রয়েছে টানা চার দিনের ছুটি। এমন পরিস্থিতিতে সব প্রস্তুতি শেষ করে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রহর গুনছেন ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে নিরাপত্তা জোরদার করার দাবিও তাদের।

তবে অন্য সময়ের মতো আগাম বুকিংয়ের তোড়জোড় নেই বলে জানিয়েছেন তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইসের বিপণন নির্বাহী ইমতিয়াজ সুমেল।

তিনি বলেন, টানা ছুটি থাকলেও ১৫ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই হোটেল-মোটেল বুকিং হয়েছে। হোটেল-মোটেল জোনের প্রায় তারকা হোটেলের একই অবস্থা। অথচ অন্য সময়ে টানা তিন থেকে পাঁচ দিন ছুটি থাকলেই বুকিংয়ের ফোন রিসিভ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠতে হতো। এখন সেই ব্যস্ততা নেই। তবে যে হারে কক্সবাজারসহ সারা দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা নিয়ে একটু আশঙ্কায় আছি।

একই কথা বললেন সি গাজীপুর হোটেলের ব্যবস্থাপক জাব্বার। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে এই ছুটিতে তেমন চাপ নেই বললেই চলে। যা কল পাচ্ছি, তা স্বাভাবিক। এরপরও ধারণা করি ১২ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত লাখো পর্যটক কক্সবাজার অবস্থান করবেন। আর যদি করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়, তাহলে আমরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারি। 

অন্যদিকে পর্যটক বরণে তৈরি হচ্ছে পর্যটন নগরীর আবাসন ও খাবারের দোকানগুলোও। চলছে হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। মাস দেড়েক ধরে সুনসান নীরবতায় থাকা সৈকত হয়ে উঠছে কোলাহলমুখর। পর্যটকদের সেবা পরিবেশনের আশায় রয়েছেন এখানকার সবাই।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, কক্সবাজারে ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস ও রিসোর্টে প্রায় দেড় লাখের মতো পর্যটক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। ইতোমধ্যে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। সব মিলে কয়েক লাখ পর্যটক আসবেন, এমনটি ধরে নিয়ে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আশা করছি, ঈদের আগে আগাম বুকিং আরও বাড়বে। তবে করোনা নিয়ে ব্যবসায়ীরা একটু চিন্তিত।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, পর্যটকের নিরাপত্তায় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে সার্বক্ষণিক টহল রয়েছে। ঈদের ছুটিতে ব্যাপক পর্যটক সমাগম ঘটবে, সেটি বিবেচনায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছ। সৈকতে পর্যটকদের জন্য খাবার পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।