সরকার সাধারণ মানুষের কষ্ট বোঝে না, মন্ত্রীরা হতদরিদ্রদের ভাষা বোঝেন না বলে জানান জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের
তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। টিসিবির পণ্য দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এমন বাস্তবতায় সরকার রেশনিং চালু করতে পারে।
শনিবার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাপার ঢাকা মহানগর দক্ষিণের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
জাপার কো-চেয়ারম্যান ও মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- জাপা কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাহিদুর রহমান টেপা, এডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, এসএম ফয়সাল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ প্রমুখ।
জিএম কাদের বলেন, দেশ অনেক এগিয়েছে, মানুষের আয় বেড়েছে- সরকার এমন কথা বলছে। দেশের প্রবৃদ্ধি ঈর্ষণীয় পর্যায়ে। টিসিবির ট্রাকের পাশে মানুষের লাইন দেখলেই বোঝা যায় মানুষ কতোটা ভালো আছে। টিসিবির পণ্য কিনতে এক কিলোমিটার লাইন, দিনের শেষে অনেকেই খালি হাতে বাসায় ফিরেন।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, যারা সরকারি দল করেন, শুধু তারাই অর্থনৈতিকভাবে ভালো আছেন। তারা লুটপাট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দলবাজি আর দখলের রাম রাজত্ব কায়েম করেছে। মানুষ কারও কাছে বিচার দিতে পারে না। তারা জানে না কার কাছে গেলে প্রতিকার মিলবে। কারও হয়তো আয় বেড়েছে লাখ লাখ টাকা। তবে বেশির ভাগ মানুষের আয় কমেছে। তাই কাগজে কলমে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির সুফল পাচ্ছে না দেশের সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। দেশের মানুষ বর্তমান পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়।
‘দেশের মানুষ দুর্নীতি ও দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়। একটি চক্র সিন্ডিকেট করে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী করেছে। সরকারের যেন কিছুই করার নেই।’
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তারা উৎসবের নির্বাচন আতঙ্কে পরিণত করেছে। নির্বাচনের নাম শুনলেই মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। সাধারণ জনগণ এখন আর ভোটকেন্দ্রে যেতে চায় না। দেশের মানুষকে নির্বাচনমুখী করতে হবে।
জাপা মহাসচিব মো, মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের ওপর নাখোশ আর বিএনপিকে বিশ্বাস করে না। গণমানুষের অধিকার নিয়ে মাঠে নামলেই দেশের সুশীল সমাজ জাপার সঙ্গে থাকবে।
সম্মেলনে আগামী দুই বছরের জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণের জন্য জাপার কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে সভাপতি ও জহিরুল ইসলাম রুবেলকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন জিএম কাদের। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতেও তাদের নির্দেশ দেন তিনি।