নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুদকের বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ে উপ-পরিচালক মো. শাহরিয়ার জামিল শিগগিরই চার্জশিট দাখিল করবেন বলে জানা গেছে।
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
মেয়র ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- দিপু দাস (পাম্প অপারেটর), আসাদুজ্জামান (বাজার শাখার আদায়কারী), জ্যোতি দেবনাথ (সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক), মারুফ বিল্লাহ (সহকারী কর আদায়কারী), বালী শফিকুল ইসলাম (সহকারী কর আদায়কারী), শারমিন আক্তার বনানী (বিল ক্লার্ক, পানি শাখা), মো. হাচান মাঝি (ট্রাক চালক), হাসনা আক্তার (সুইপার সুপারভাইজার), মো. জিলানী (সুইপার সুপারভাইজার), তানিয়া (এমএলএসএস), অর্পূব কুমার পাল (পাম্প চালক), নিতাই চন্দ্র সাহা (পাম্প চালক), মোহাম্মদ মেহেদী হাসান (সহকারী পাম্প চালক), মো. সৌদি করিম (সহকারী কর আদায়কারী), সাব্বির মাহমুদ (সহকারী কর আদায়কারী), পারভিন আক্তার (সহকারী কর আদায়কারী) ও সেতু পাল পূজা (হেলথ ভিজিটর)। তারা সবাই পৌরসভার সাবেক কর্মী ছিলেন।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট পৌরসভার পাম্প চালক পদে কোনোরূপ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিধি না মেনে পাম্প অপারেটর হিসেবে দিপু দাসসহ মোট ১৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। যার মাধ্যমে ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত মোট এক কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৩ টাকা সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধন হয়েছে।