ঢাকা মঙ্গলবার, মার্চ ১৯, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

পাজেরো-প্রোবক্সসহ নিলামে উঠছে ১৪৭ বিলাসবহুল গাড়ি


নিউজ ডেস্ক
১১:৪০ - রবিবার, মে ২৮, ২০২৩
পাজেরো-প্রোবক্সসহ নিলামে উঠছে ১৪৭ বিলাসবহুল গাড়ি

বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে নিলামে উঠছে বিলাসবহুল ব্যবহৃত ১৪৭টি গাড়ি। আমদানির পরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাড় না করায় মোংলা কাস্টমস হাউস এই গাড়িগুলো বিক্রির জন্য নিলামে তুলছে। ৫ জুন নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হবে। 

এর আগে গত ২৩, ২৪ ও ২৫ মে নিলামে অংশগ্রহণকারীদের জন্য দরপত্র বিক্রি করা হয়। ৩১ মে‘র মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, খুলনা এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ও মোংলা কাস্টম হাউসে রক্ষিত দরপত্র বাক্সে দরদাতার ১০ শতাংশ জামানতসহ দরপত্র জমা দেবেন নিলামে অংশগ্রহণকারীরা। ৩০ মে পর্যন্ত মোংলা বন্দরে গিয়ে নিলামে তোলা গাড়ি দেখার সুযোগ রয়েছে ক্রেতাদের। অনলাইনেও নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নিলামে অংশগ্রহণ করা যাবে বলে জানিয়েছেন মোংলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

নিলামে ওঠা গাড়ির মধ্যে টয়োটা ভিজ, অ্যাকুয়া হাইব্রিড, প্রোবক্স, এক্সি, হাইব্রিড নিশান, পাজেরো, পিয়ার্স হাইব্রিড, টয়োটা হাইব্রিড, করোলা ফিলডার, হায়েসসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৯৯৩, ৯৬, ৯৭, ৯৮, ৯৯, ২০০৬, ৭, ৮, ৯, ১১, ১৩, ১৭, ১৮. ১৯, ২০, ২১ ও ২২ মডেলের গাড়ি রয়েছে।

বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারবিডা) সভাপতি হাবিবুল্লা ডন বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক মন্দা এবং সরকারি সংস্থা ও ব্যাংকগুলো গাড়ি ক্রয় করছে না। বড় বড় কোম্পানিগুলোও এখন গাড়ি কিনছে না। যার কারণে গাড়ির ব্যবসা ভালো চলছে না। এর মধ্যে কাস্টমসের নিলাম প্রক্রিয়া ব্যবসায়ীদের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। গাড়ি নিলামে না তুলে ব্যবসায়ীদের সময় দেওয়া প্রয়োজন বলে দাবি করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

মোংলা কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা ছবি রাণী দত্ত বলেন, মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা এসব গাড়ি ৩০ দিনের মধ্যে ছাড় করানোর নিয়ম থাকলেও সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা তা করেননি। নির্দিষ্ট সময়ের পরে আমদানিকারকদের আরও ১০ কার্যদিবস সময় দেওয়া হলেও তারা গাড়ি ছাড় করায়নি। এই কারণে নিয়মানুযায়ী পর্যায়ক্রমে নিলামে ওঠানো হচ্ছে এসব গাড়ি। নিলামে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতার তালিকা প্রকাশের পর এই গাড়িগুলো বিক্রি হবে। পরে সর্বোচ্চ দরদাতাকে নিলামে কেনা গাড়ি বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

মোংলা কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার মাহফুজুর রহমান বলেন, নিলাম প্রক্রিয়া কাস্টমস হাউসের একটি নিয়মিত কাজ। নিয়মিত নিলাম প্রক্রিয়া না থাকলে, গাড়ি বা অন্যান্য পণ্য রাখতে ব্যবসায়ীদের অসুবিধা হবে, তাই নিলাম প্রক্রিয়া চালু রাখতে হচ্ছে। এর ফলে সঠিক সময়ে সরকারের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে। এছাড়া মোংলা কাস্টমসের মোট আয়ের শতকরা ৫২ শতাংশ আসে আমদানি করা গাড়ির শুল্ক থেকে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজার কুদরত আলী বলেন, ২০০৯ সালের ৩ জুন থেকে এ পর্যন্ত মোংলা বন্দরে জাপান থেকে ২২ হাজার ৪৩৭টি গাড়ি আমদানি করা হয়েছে। যা মোট আমদানি গাড়ির শতকরা ৬০ ভাগ। সময়মত গাড়ি ছাড় করালে, বন্দর শেডে গাড়ির জট তৈরি হয় না বলে জানান তিনি।