ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০ তম জাতীয় সম্মেলন কে কেন্দ্র করে চলছে জল্পনা-কল্পনা। ছাত্রলীগের আগামীর কান্ডারি নির্বাচন করবেন দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনা। দলের হাই-কমান্ড ইতোমধ্যেই যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রস্তুতের কাজে ব্যস্ত বলে জানা গেছে।
মূলত পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি, মেধা, ত্যাগ ও মানবিক কাজে নিবেদিত থাকার মতো গুণাবলীকেই প্রাধান্য দেয়া হয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করার ক্ষেত্রে।
সে বিবেচনায় হাই প্রোফাইল প্রার্থীদের চেয়ে অনেক অংশে এগিয়ে থাকবেন যারা প্রথম কাতারের পদে না থেকেও ইতোপূর্বে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন তারা।
ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আগামীর কান্ডারিদের দুয়েকজন থাকতে পারেন বলে বিশেষ সূত্রে জানা যায়। তাদের মধ্যে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা মানিকগঞ্জ থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগে আলোচনায় আছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক রায়হান রনি। নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রহিম সরকার। নরসিংদী জেলা থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শামীম পারভেজ। তবে রায়হান রনির নাম বিশেষ আলোচনায় উঠে আসছে চিত্রশিল্পের মাধ্যমে মুজিবীয় চেতনার অভিনব প্রকাশের জন্য।
আলাপকালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ- প্রচার সম্পাদক রায়হান রনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত হয়েছে সেই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ভিশন বাস্তবায়নে ছাত্রলীগের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে চাই। দীর্ঘদিন ধরে বিশেষ কিছু অঞ্চল হতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগে শীর্ষ নেতৃত্ব আসছে সুতরাং আমাদের প্রত্যাশা থাকবে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে তরুণ নেতৃত্ব নির্বাচনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী ও পরিক্ষীত শীর্ষ নেতৃত্ব ছাত্রলীগের জন্য নির্বাচন করবেন। এক্ষেত্রে কর্মীদের প্রত্যাশার প্রতিফলনও ঘটবে।
উল্লেখ্য চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী রনি একজন প্রাক্তন নটর ডেমিয়ান এবং তার রাজনৈতিক কর্মকান্ডে একটি শৈল্পিক ও মানবিক মাত্রার সংমিশ্রণ পরিলক্ষিত। ছাত্রলীগের বিতর্কমুক্ত ইমেজ পুনরুদ্ধারে এমন নেতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা।
