ঢাকা শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

কৃষকলীগের সহসভাপতির উপর সন্ত্রাসী খলিল বাহিনীর হামলা


নিউজ ডেস্ক
১৬:১৭ - শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২
কৃষকলীগের সহসভাপতির উপর সন্ত্রাসী খলিল বাহিনীর হামলা

সন্ত্রাসী খলিল বাহীনির হামলা থেকে জীবন নিয়ে বেঁচে ফিরেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষকলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি মো. মাকসুদুল ইসলাম ।

এই হামলার ঘটনায় মো. মাকসুদুল ইসলাম সহ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এতে ক্ষত স্থানে ২৪টি সেলাই দিতে বাধ্য হউন চিকিৎসক।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াই টায় পল্লবী থানাধীন সেকশন-১১, ব্লক-ই, বাউনিয়াবাধ, শতক পাম্পের পশ্চিম পাশে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

পরে রাতে পল্লবী থানা পুলিশের সহায়তায় মো. মাকসুদুল ইসলাম ও তার পার্টনার ফারুক হাসানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসর জন্য ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত হয়েছেন মো. মাকসুদুল ইসলাম ও তার পার্টনার ফারুক হাসান।
ঘটনার পরদিন মো. মাকসুদুল ইসলাম বাদী হয়ে পল্লবী থানায় ১৮ জন সহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে মাকসুদুল ইসলাম বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত অনুমান ০২.৩০ ঘটিকায় খলিলুর রহমান খলিল (কসাই খলিল), তারেক, বুলবুল মল্লিক, মান্নান, জাহিদ, সাদ্দাম (কসাই সাদ্দাম), কামাল আজিজ (কালা আজিজ), বিল্লাল, জালাল, রিপন, সফিক, মাইছা খলিল, শেখ ফরিদ (বাইট্টা ফরিদ), নুর হোসেন, সানি, মো. খোকন (রিক্সা খোকন), কালু সহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন বে-আইনী জনতাবদ্ধে হাতে চাপাতি, লোহার রড, কাঠের বিট নিয়া পল্লবী থানাধীন সেকশন-১১, ব্লক-ই, বাউনিয়াবাধ, শতক পাম্পের পশ্চিম পাশে নিম্নে তফসিল বর্ণিত আমার মালিকানাধীন জমির ভিতরে অনধিকারভাবে প্রবেশ করে আমার কেয়ারটেকার সাদ্দাম'কে ডেকে আমার কাছ থেকে চাঁদার টাকা সংগ্রহ করে রাখছে কিনা জিজ্ঞাসা করে। কেয়ারটেকার চাঁদার টাকা দিতে মানা করলে খলিল বাহীনি আমার ক্রয়কৃত বর্ণিত জমি জোরপূর্বক দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। কেয়ারটেকার সাদ্দাম তাদেরকে এহেন কাজে বাধা দিলে তার উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় এবং এলোপাতারীভাবে মারপিট করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। সংবাদ পেয়ে আমি আমার বন্ধু শেখ শওকত (৫০), আমার পার্টনার ফারুক হাসান (৫৩) তাদেরকে সাথে নিয়া তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়া সন্ত্রাসী খলিল বাহীনির মারামারিতে বাধা দিলে তারা আমাদেরকের মারধর করে। ১নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা ধারাল চা-পাতি দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথার উপর কোপ মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। ২ নং বিবাগদী তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আমার পার্টনার ফারুক হাসানের ডান পায়ের উপর বারি মেরে হাড় ভাংগা জখম করে। ৩নং বিবাদী তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আমার ডান পায়ের উপর বারি মারিয়া নীলাফুলা জখম করে। ৪নং বিবাদী তার হাতে থাকা রড দিয়া আমার ডান কানের উপর আঘাত করে নীলাফুলা জখম করে তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আমার মাথায়, বুকে, পিঠে, দুইহাতে ও দুই পায়ের উপর এলোপাতারীভাবে পিটাইয়া নীলাফুলা জখম করে। তাহাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমার বন্ধু শেখ শওকতের মাথায়, বুকে, পিঠে, দুই হাতে ও দুই পায়ের উপর এলোপাতারীভাবে পিটাইয়া নীলাফুলা জখম করে। আমার পার্টনার ফারুক হাসানের মাথায়, বুকে, পিঠে, দুই হাতে ও দুই পায়ের উপর এলোপাতারীভাবে পিটাইয়া নীলাফুলা জখম করে। অন্যান্য অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা তাহাদের হাতে থাকা কাঠের বিট দিয়ে আমার কেয়ারটেকার সাদ্দামের মাথায়, বুকে, পিঠে, দুই হাতে ও দুই পায়ের উপর এলোপাতারীভাবে পিটাইয়া নীলাফুলা জখম করে। ১নং বিবাদী আমার গলায় থাকা ৩ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন মূল্য অনুমান ২,৩২,০০০/- (দুই লক্ষ বত্রিশ হাজার) টাকা নিয়া যায়। ২নং বিবাদী আমার গাড়ীতে থাকা একটি সাইড ব্যাগ যাহার মধ্যে থাকা নগদ ৫,৫০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়া যায়। আমার বন্ধু শেখ শওকত কৌশলে পালাইয়া গিয়া ৯৯৯ নম্বরে ফোন করিলে পল্লবী থানার টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইলে বিবাদীরা পরবর্তীতে আমাকে সুযোগমত পাইলে প্রানে শেষ করে দিবে বলে হুমকী দিয়া চলে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ উদ্ধার করে আনে।
আমি যেন খলিল ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে কনো মামলা না করি সে জন্য আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করা হয়েছে যার প্রমান আমার অফিসে থাকা সাংবাদিক বৃন্দরা তারা সে সময় আমার অফিসে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ পারভেজ ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন   সেকশন-১১, ব্লক-ই, বাউনিয়াবাধ, শতক পাম্পের পশ্চিম পাশের জায়গাটি দুই পক্ষ দাবি করছিল রাতের বেলায় এক পক্ষ কাজ করছিল পরে মাকসুদুল ইসলাম ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশকে সাথে নিয়ে ঘটনা স্থলে গেলে দুইজনের মধ্যে মারামারি হয়, একপর্যায়ে দুই পক্ষই আহত হয়। পরে দুই পক্ষ থানাতে অভিযোগ দিলে দুই পক্ষরি মামলা আমরা নিয়েছি। এ বিষয়ে আমরা খলিলে পক্ষের একজনকে গ্রেফতার করেছি এবং বিষয়টির তদন্ত চলমান রয়েছে।