ঢাকা বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

Popular bangla online news portal

Janata Bank
Rupalibank

দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণে প্রচেষ্টা নেওয়ার আহ্বান


নিউজ ডেস্ক
১১:১৩ - রবিবার, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণে প্রচেষ্টা নেওয়ার আহ্বান

দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও বিস্তারে সম্মিলিত প্রচেষ্টা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।


রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের থ্রিডি হলে মৎস্য অধিদপ্তর আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক আমাদের জন্য খুবই উপযোগী। আমরা এক সময় সামুদ্রিক মাছে অভ্যস্ত ছিলাম না। বিদেশি মাছের চাষাবাদও এখানে হতো না। দেশীয় মাছ ছিল সুস্বাদু। এসব মাছ অনেকটাই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আধুনিক চাষাবাদ করতে গিয়ে একদিকে গুরুত্ব দিয়ে অন্যদিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ফলে দেশীয় মাছ উৎপাদনের উৎসমূলে আঘাত করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, জলাশয়, পুকুর, নদী ভরাট ও কীটনাশকের অপরিমিত ব্যবহারের কারণে দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হওয়ার মতো অবস্থায় চলে গেছে। মাছের অভয়াশ্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বর্তমান সরকারের কার্যকর উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং মৎস্য অধিদপ্তর দীর্ঘ কার্যক্রমের মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৭টি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির দেশীয় মাছ ফিরিয়ে এনেছে।

দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, দেশীয় মাছ খাবারের চাহিদা মেটায় এবং পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটায়। মাছের পাশাপাশি শামুক ও ঝিনুকের নানা প্রকার উপযোগিতা রয়েছে। দেশীয় মাছ এবং শামুকের বিস্তার ও সংরক্ষণে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। পাশাপাশি দেশের প্রচলিত ও অপ্রচলিত সব ধরণের মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণেও কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, মৎস্যসম্পদের প্রতি আমরা যত বেশি যত্নশীল হব, তত বেশি এ খাতের বিকাশ হবে। এ খাত বিকশিত হলে খাবারের চাহিদা পূরণ হবে, আমিষের যোগান হবে। পর্যাপ্ত উৎপাদন হলে মাছ বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য ও প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক এস এম আশিকুর রহমান। মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মৎস্য অধিদপ্তরের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি মৎস্যজীবী প্রতিনিধিরা কর্মশালায় অংশ নেন।